আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তাজিকিস্তানে ধর্মীয় উগ্রপন্থার প্রতি মানুষের আকৃষ্ট হওয়া ঠেকাতে এক সরকারি কর্মসূচির অধীনে দেশটির পুলিশ গত দু বছরে লাখ লাখ লোকের দাড়ি কামিয়ে দিয়েছে।
মুসলিম-প্রধান দেশ তাজিকিস্তানের কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ‘এ্যান্টি-র্যাডিকালাইজেশন’ কর্মসূচির অধীনে শুধুমাত্র খাতলন অঞ্চলেই ১৩ হাজার লোকের দাড়ি কামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
জোর করে দাড়ি কামিয়ে দেয়া ছাড়াও, ওই লোকদের আঙুলের ছাপও রেখে দিচ্ছে পুলিশ।
গত গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত মধ্য এশিয়া থেকে আনুমানিক চার হাজারের মতো লোক সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন ইসলামপন্থী জঙ্গী গ্রুপের হয়ে যুদ্ধ করতে গেছে। এরই প্রেক্ষাপটে তাজিক সরকারের এই কর্মসূচি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, দাড়ি রাখা এমন একটি প্রবণতা যা বিজাতীয় বা ‘বাইরে থেকে আসা’ – এবং ‘তাজিক সংস্কৃতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’।
দাড়ি কেটে দেয়া হয়েছে এমন এক ব্যক্তি হচ্ছেন দিওভিদ আকরামভ। তিনি বলেন, পুলিশ তাকে বাড়ির সামনেই থামায় এবং তার সাত বছরের ছেলেকে সহ থানায় নিয়ে যায়।
“তারা আমাকে সালাফিস্ট, জনগণের শত্রু বলে গালাগালি করে। এর পর দুজন পুলিশ আমার হাত ধরে রাখে, আর আরেকজন আমার দাড়ি কামিয়ে দেয়।” বলছিলেন আকরামভ।
এক রিপোর্টে বলা হয়, এই কর্মসূচির লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন হিজার পরা মহিলারাও। দেশটিতে স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজার নিষিদ্ধ।
তাজিক প্রেসিডেন্টএমোমালি রাহমোন দেশের লোকদের ‘বাইরের মূল্যবোধ, পোশাক ও সংস্কৃতি গ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে আকরামভ বলেন, এই অপমান তিনি কখনো ভুলবেন না। তার কথায়, এ ধরণের আচরণের জন্য মানুষ উগ্রপন্থার প্রতি আরো বেশি করে আকৃষ্ট হবে।
তাজিকিস্তানের ৯৯ শতাংশ মানুষই মুসলিম এবং এর মধ্যে কিছু শিয়া ছাড়া অধিকাংশই সুন্নি।